সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন
- আপলোড সময় : ২৯-০৬-২০২৫ ০৮:৫০:৫২ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৯-০৬-২০২৫ ০৮:৫০:৫২ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ::
সারাদেশে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট বিমান কান্তি রায়ের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক স¤পাদক ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ স¤পাদক বিমল বণিকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট মলয় চক্রবর্তী রাজু, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-ঐক্য পরিষদের সাধারণ স¤পাদক অ্যাডভোকেট বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি কলি তালুকদার আরতি, জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রাধাকান্ত সূত্রধর, জেলা জাগ্রত যুব সংঘের প্রতিনিধি হিমাদ্রি রায় প্রান্ত।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার চৌধুরী, সাধারণ স¤পাদক বিধান দাস, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ এষ বলাই, লোকনাথ সেবাসংঘের সভাপতি মতি লাল চন্দ, সাধারণ স¤পাদক জয়ন্ত বণিক, শংকর বণিক, সুদীন রায়, বিশ্বজিৎ রায়, মলয় দাস, দিপঙ্কর শর্মা চৌধুরী, অরুণ তালুকদার, অমিত চক্রবর্তী, রাজগোবিন্দ চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট অশোক গোস্বামী, নিতাই চন্দ, অনন্ত বণিক, শিশির তালুকদার, মলি রায়, জবা ঘোষ, অন্তু বণিক, কাজলী দাস, সীমা চৌধুরী, পিনাক দাস, চয়ন দাস, সুমন নন্দী, রবি বণিক, নিরঞ্জন দাস, চমক সেন, লিটন দে, রাজু বণিক, বাপন রায়, জয় বণিক প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঢাকার খিলক্ষেতে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গা মন্দির বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ, প্রতিমা ভাঙচুর, লালমনির হাটে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে সেলুনে বাবা ও ছেলেকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ এবং যশোরের অভয়নগরে বর্বরোচিত হামলাসহ সারাদেশে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চলমান আছে।
বক্তারা বলেন, সম্প্রতি ঢাকার খিলক্ষেতে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গামন্দির বুলডোজার দিয়ে যেভাবে গুড়িয়ে দিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। কেননা ১৯৭১ সালে সকল ধর্মের মানুষের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশটি সৃষ্টি হয়েছিল। যেখানে প্রতিটি ধর্মের মানুষ স্ব-অবস্থানে থেকে স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করবেন। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটি সরকারের আমলে সংখ্যালঘুরা মন্দির ভাঙার শিকার, প্রতিমা ভাংচুরসহ স¤পত্তি দখলের অভিযোগ রয়েছে।
তারা বলেন, এই দেশে সবাই আমরা নিজের মাতৃভূমি হিসেবে বসবাস করতে চাই। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তী এই সরকার কোনো দলীয় সরকার নয়। কাজেই সম্প্রতি দেশের বিভিন্নস্থানে সংখ্যালঘুদের উপর যে অত্যাচার নির্যাতন, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে এবং লালমনির হাটে মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে সেলুনে বাবা ও ছেলেকে ধর্মীয় অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাদের পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় যারা জড়িত আছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ